শয়তানের নিঃশ্বাস কোথায় পাওয়া যায় ও
স্কোপোলামিন বাংলাদেশে কোথায় পাওয়া যায়
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
শয়তানের নিঃশ্বাস বা স্কোপোলামিন একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক ও নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য। এটি কোনো স্বীকৃত ফার্মেসি বা দোকানে বিক্রি হয় না। এই মাদকটি সাধারণত অবৈধভাবে তৈরি এবং বিক্রি করা হয়। * অনলাইন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ডার্ক ওয়েব বা অন্যান্য।
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
দেশে অভিনব কৌশলে বেড়ে চলেছে নানা প্রতারণা ও ছিনতাই। প্রতারণার নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে একটি ভয়ংকর অপরাধী চক্র।
বর্তমানে নতুন একটি পন্থা দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ পন্থায় একজন প্রতারক কিংবা ছিনতাইকারী ভুক্তভোগীকে চাইলেই কাবু করে নিজের ইশারায় নাচাতে পারেন।
প্রতারক যে নির্দেশনাই দেবেন, তা-ই অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন সেই নিরীহ ভুক্তভোগী। বিষয়টি জাদুটোনার মতোই কাজ করে।
রাজধানীর মাদারটেক আজিজ স্কুল মহল্লার বাসিন্দা রঞ্জু মনোয়ারা। ১৮ জানুয়ারি অনলাইনে পুরাতন ফ্রিজ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন তিনি।
কেনার কথা বলে আশিক নামের এক ক্রেতা তার বাড়িতে আসেন। ফ্রিজ দেখে মোটামুটি পছন্দ হয় তার। পরদিন তিনি তার স্ত্রী পরিচয়ে এক মহিলাকে নিয়ে আবার ওই বাড়িতে আসেন। তারা রঞ্জু মনোয়ারার ড্রয়িংরুমে বসে কথা বলছিলেন।
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
এক সময় রঞ্জু মনোয়ারা ওই মহিলার হাতে তুলে দেন তার গলা ও হাতের অলংকার, ঘরে রাখা নগদ টাকাসহ কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার। কিছুক্ষণ পর তারা ওই বাসা থেকে বিদায় নেন।
তাদের এগিয়েও দেন রঞ্জু মনোয়ারা। তবে কিছু সময় পর পরিবারের অন্য সদস্যরা বাসায় এসে সবকিছু এলোমেলো দেখে তাকে প্রশ্ন করতেই তিনি বেহুঁশ হয়ে যান।
হুঁশ ফেরার পর একে একে তার মনে পড়তে থাকে আগের ঘটে যাওয়া সব দৃশ্য। তবে ততক্ষণে সব শেষ। অনুসন্ধানে জানা যায়, এ ধরনের ঘটনা এখন রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় প্রায়ই হয়ে থাকে। আর এ অপরাধ সংঘটিত করতে ব্যবহার করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর নেশা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ বা স্কোপোলামিন।
শয়তানের নিঃশ্বাস একটি হেলুসিনেটিক ড্রাগ। রাসায়নিকভাবে এটি স্কোপোলামিন নামে পরিচিত। স্কোপোলামিন একটি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত ট্রোপেন অ্যালকালয়েড এবং অ্যান্টিকোলিনার্জিক ড্রাগ।
এটি হায়োসিন, ডেভিলস ব্রেথ, শয়তানের নিঃশ্বাস, বুরুন্ডাঙ্গা, রোবট ড্রাগ, জম্বি ড্রাগ বা কলম্বিয়ান ডেভিলের নিঃশ্বাস নামেও পরিচিত। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রয়েছে। রোগীকে অপারেশনের আগে অজ্ঞান করতে এটা ব্যবহার করা হয়।
এটি মস্তিষ্কের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। দুর্বৃত্তরা লোকজনকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নিতে এটি ব্যবহার করে। বর্তমানে এটি মাদক হিসাবে বা হেলুসিনেটিক ড্রাগ হিসাবে খুব ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ক্ষতির মাত্রা কোকেন থেকে বহুগুণ বেশি। বাংলাদেশের নয়া আতঙ্ক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এ মাদক।
এর প্রভাব এতটাই ভয়ংকর যে, কোনো ব্যক্তিকে সেকেন্ডেই নিজের নিয়ন্ত্রণে অনায়াসেই আনা যায়। ফলে অনেক ব্যবসায়িক এবং করপোরেট সেক্টরেও কর্তাব্যক্তিদের এটি প্রয়োগ করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে থাকে প্রতারক চক্র।
অন্যের আদেশ পালন করতে বাধ্য করানোই হলো এ মাদকের মূলমন্ত্র। ভুক্তভোগীরা হেপনোটাইজ হয়ে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যান।
পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে এর ব্যবহার বেশি পরিলক্ষিত হলেও এখন পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এর ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এর ব্যবহার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নানাভাবে ও নানা কৌশলে এটি প্রয়োগ করা হয়। যেমন, হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে, ঘ্রাণের মাধ্যমে, খাবারের সঙ্গে, চিরকুটের মাধ্যমে, কোমল পানীয়র সঙ্গে, বাতাসে ফুঁ দিয়ে।
স্কোপোলামিন তরল ও শুকনো দুই ফরমেটেই পাওয়া যায়। এ ড্রাগটি ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি দূরত্ব থেকে শ্বাসের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে, যার প্রতিক্রিয়া থাকে ২০ থেকে ৬০ মিনিট। খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে এর প্রতিক্রিয়া থাকে দু-তিন দিন।
মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণে শয়তানের নিঃশ্বাসের প্রভাব : স্কোপোলামিন বা শয়তানের নিঃশ্বাস শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্কের প্রাথমিক স্মৃতি ব্লক হয়ে যায়।
ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি আক্রমণকারীকে দেখতে পেলেও চিনতে পারেন না এবং কিছু মনে রাখতে পারেন না। এর প্রভাবে শরীরে কোনো প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না বা বাইরের কোনো আক্রমণে শরীর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোর মতো অবস্থায়ও থাকে না।
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
এ অবস্থায় ভুক্তভোগীর আচরণ হয়ে যায় বশীভূত বা সুতায় বাঁধা পুতুলের মতো। তীব্র হেলুসিনেশন শুরু হয়। অন্যের দেওয়া আদেশকে যান্ত্রিকভাবে অনুসরণ করতে বাধ্য করে। মানে আপনি নিজে কিছু করতে পারবেন না, শুধু সামনের লোক যা বলবে তাই করবেন রোবটের মতো।
গবেষণায় জানা গেছে, ভয়ংকর এ সংস্পর্শে এলে ভুক্তভোগী নিজ ইচ্ছায় কোনো প্রতিবাদ ছাড়াই সবকিছু তুলে দেয় প্রতারকের হাতে। সত্য উদঘাটনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও এ মাদকটি ব্যবহার করেন। কলম্বিয়ায় উৎপন্ন হওয়া এ মাদকটি নিয়ে ১৮৮০ সালে সর্বপ্রথম জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট লাদেনবার্গ গবেষণা শুরু করেন। ১৯২২ সালে এটি সর্বপ্রথম কারাবন্দিদের ওপর প্রয়োগ করা হয়।
বর্তমানে এ মাদকটি মূলত প্রতারক চক্রের সদস্যরা ব্যবহার করে থাকে। কলম্বিয়ায় উৎপত্তি হলেও ইকুয়েডর ও ভেনিজুয়েলাতেও মাদকটির যথেষ্ট বিস্তার রয়েছে। এছাড়া পেরু, আর্জেন্টিনা, চিলি প্রভৃতি দেশে এটি মাদক হিসাবে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এবং ওই দেশের অপরাধীরা বিভিন্ন বয়সি নারীদের দিয়ে নীলছবি ও অবাধ মিলনে বাধ্য করতে এটি ব্যবহার করে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, বেশকিছু ড্রাগ রয়েছে যেগুলোর প্রয়োগে মানুষের মন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
এর মধ্যে অন্যতম স্কোপালামিন বা ডেভিলস ব্রেথ। সংশ্লিষ্টদের এখনই সতর্ক হওয়া ও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এছাড়া বায়ুবাহিত অজানা বিপদ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহার করা দরকার।
এর সুবিধা হলো দুষ্কৃতকারীরা সহজে টার্গেট করবে না। টার্গেট করলেও মাস্ক প্রটেকশন দেবে এবং সচেতন হলে ততক্ষণে বুঝে যাবে যে, ভুক্তভোগীর সঙ্গে কী হতে যাচ্ছে।
শয়তানের নিঃশ্বাস দেখতে কেমন
স্কোপোলামিন পাউডার দাম
স্কোপোলামিন দাম
শয়তানের নিঃশ্বাস মেডিসিন
স্কোপোলামিন কী?
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
স্কোপোলামিন হলো একটি ট্রোপেন অ্যালকালয়েড, যা Solanaceae (নাইটশেড) পরিবারের গাছ, বিশেষত হেনবেন এবং ধুতরাসহ একই পরিবারের বেশকিছু কাছে পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এটি এই পরিবারের গাছ থেকে আহরিত হয়েছিল পরে কেমিক্যালি সিন্থেসিস করে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হয়েছে।
স্কোপোলামিন মূলত চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হলেও, অপরাধীরা একে ব্যবহার করে জনসাধারণ বশীভূত এবং বিভ্রান্ত করে ছিনতাই বা চুরি করে থাকে।
স্কোপোলামিন মূলত একটি সিন্থেটিক ড্রাগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ওষুধ তৈরিতে এর ব্যবহার আছে। বমি বমি ভাব, মোশন সিকনেস এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন পরবর্তী রোগীর জন্য ওষুধে এর ব্যবহার রয়েছে। অতীতে এটি মানসিক রোগের চিকিৎসায় এবং সত্য কথা বলার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে, এর অন্ধকার দিকটি হলো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার, বিশেষত চুরি এবং হামলার ক্ষেত্রে। এটি তরল এবং পাউডার দুই রূপেই পাওয়া যায়।
স্কোপোলামিনের ইতিহাস
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
প্রাকৃতিকভাবে স্কোপোলামিন ধারণকারী কিছু গাছের মধ্যে রয়েছে Atropa belladonna (ডেডলি নাইটশেড), Brugmansia (এঞ্জেলস ট্রাম্পেট), Datura (জিমসন উইড), Hyoscyamus niger, Mandragora officinarum, Scopolia carniolica, Latua, এবং Duboisia myoporoides। প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন সভ্যতায় এই গাছগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
ডেভিলস ব্রেথ-ব্ল্যাক ম্যাজিক
‘শয়তানের নিশ্বাস’ থেকে নিরাপদ থাকার উপায়
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
গত সপ্তাহে আমার স্ত্রী নিউমার্কেটে শপিং করতে গিয়েছিলেন। শপিং থেকে এসে আমাকে খুব আতঙ্কিত হয়ে বলছিলেন আর কখনো একা বাইরে যেতে পারবে না। মার্কেটে বোরকা পরা এক মহিলা তার সামনে এসে জুতা দেখিয়ে বলছে, ‘আপা জুতাটা কিনলাম দেখেন তো কেমন হয়েছে?’
জীববিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়ায় আগে থেকেই আমার পরিবারের সব সদস্যদের আমি শয়তানের নিশ্বাস বা ডেভিলস ব্রেথ ও তার কার্যকারিতা সম্পর্কে আগেই জানিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে তার জানা থাকার কারণে ওই মার্কেটে সে বেঁচে গিয়েছে। আমার স্ত্রী দুই কদম পিছিয়ে যখন ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কেন আমাকে এটি দেখতে দিচ্ছেন?’
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
তখন খুব দ্রুত গতিতে মহিলা পালিয়ে গেলেন। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই এমন ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা নানারকম ভিডিও দেখছি এ বিষয়ে। বিভিন্ন ভিডিওতে আপনারা দেখেছেন কোনো একজন অপরিচিত ব্যক্তি একজন পথচারীকে কোনো একটি ঠিকানা পড়তে দিচ্ছেন। ওই ঠিকানাটি পড়ার সময় টোকা দিয়ে বা তার নিশ্বাসের সঙ্গে স্কোপোলামিন (Scopolamine) পাউডার শরীরে ঢুকে নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রান্ত করছে এবং তার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে ছিনতাইকারীর হাতে।
স্কোপোলামিন, যা সাধারণত ব্ল্যাক ম্যাজিক বা শয়তানের নিশ্বাস বা ডেভিলস ব্রেথ নামে পরিচিত, একটি শক্তিশালী ওষুধ যার অপরাধমূলক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষের কাছে যা আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। স্কোপোলামিন মূলত চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হলেও, অপরাধীরা একে ব্যবহার করে জনসাধারণ বশীভূত এবং বিভ্রান্ত করে ছিনতাই বা চুরি করে থাকে।
স্কোপোলামিন কী?
স্কোপোলামিন হলো একটি ট্রোপেন অ্যালকালয়েড, যা Solanaceae (নাইটশেড) পরিবারের গাছ, বিশেষত হেনবেন এবং ধুতরাসহ একই পরিবারের বেশকিছু কাছে পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এটি এই পরিবারের গাছ থেকে আহরিত হয়েছিল পরে কেমিক্যালি সিন্থেসিস করে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হয়েছে।
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
স্কোপোলামিন মূলত চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হলেও, অপরাধীরা একে ব্যবহার করে জনসাধারণ বশীভূত এবং বিভ্রান্ত করে ছিনতাই বা চুরি করে থাকে।
স্কোপোলামিন মূলত একটি সিন্থেটিক ড্রাগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ওষুধ তৈরিতে এর ব্যবহার আছে। বমি বমি ভাব, মোশন সিকনেস এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন পরবর্তী রোগীর জন্য ওষুধে এর ব্যবহার রয়েছে। অতীতে এটি মানসিক রোগের চিকিৎসায় এবং সত্য কথা বলার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে, এর অন্ধকার দিকটি হলো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার, বিশেষত চুরি এবং হামলার ক্ষেত্রে। এটি তরল এবং পাউডার দুই রূপেই পাওয়া যায়।
স্কোপোলামিনের ইতিহাস
প্রাকৃতিকভাবে স্কোপোলামিন ধারণকারী কিছু গাছের মধ্যে রয়েছে Atropa belladonna (ডেডলি নাইটশেড), Brugmansia (এঞ্জেলস ট্রাম্পেট), Datura (জিমসন উইড), Hyoscyamus niger, Mandragora officinarum, Scopolia carniolica, Latua, এবং Duboisia myoporoides। প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন সভ্যতায় এই গাছগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
স্কোপোলামিন হলো প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত অন্যতম প্রাথমিক অ্যালকালয়েডগুলোর মধ্যে একটি। এটি উদ্ভিদ থেকে পৃথক করার পর, জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট লাডেনবার্গ ১৮৮০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি আলাদা করতে সক্ষম হন। তখন থেকেই স্কোপোলামিনের বিশুদ্ধ রূপ, যেমন হাইড্রোক্লোরাইড, হাইড্রোব্রমাইড, হাইড্রোআইওডাইড এবং সালফেট লবণের আকারে ব্যবহৃত হচ্ছে।
১৮৯৯ সালে ড. শ্নাইডারলিন অস্ত্রোপচারের অ্যানাস্থেসিয়ার জন্য স্কোপোলামিন ও মরফিনের সংমিশ্রণ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এরপর এটি মাঝে মাঝে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। ১৯০২ সালে, রিচার্ড ফন স্টেইনবুচেল প্রথমবারের মতো প্রসূতি অ্যানাস্থেসিয়ায় (প্রসবকালীন ব্যথা উপশমের জন্য) স্কোপোলামিন ও মরফিন ব্যবহারের ধারণা দেন। পরে ১৯০৩ সালে কার্ল গাউস এটি আরও উন্নত করেন এবং ফ্রাইবুর্গ, জার্মানিতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি ড্যামারশ্লাফ (টুইলাইট স্লিপ বা ফ্রাইবুর্গ পদ্ধতি) নামে পরিচিত হয়।
এই পদ্ধতিটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বিভিন্ন ক্লিনিকে বিভিন্ন মাত্রায় ও উপাদানের সংমিশ্রণে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হতে থাকে। ১৯১৫ সালে, কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে এটি নিয়ে রিপোর্ট করা হয়। এটি ১৯৬০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বহুল ব্যবহৃত ছিল, তবে পরে রাসায়নিক ওষুধের প্রতি মানুষের ভীতি এবং আর স্বাভাবিক প্রসবের চাহিদার কারণে এটি বাদ দেওয়া হয়।
কীভাবে কাজ করে
স্কোপোলামিন মানুষের মস্তিষ্ক বা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যা অ্যাসিটাইলকোলিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারকে ব্লক করে। এর ফলে নিম্নলিখিত প্রভাবগুলো দেখা যায়:
১। স্মৃতিভ্রংশ
২। বিভ্রান্তি এবং দিশাহীনতা
৩। মুখ শুষ্ক হওয়া এবং দৃষ্টিবিভ্রম
৪। তন্দ্রাচ্ছন্নতা বা অজ্ঞান হয়ে পড়া
৫। স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অভাব (শিকার সহজেই অপরাধীদের কথামতো কাজ করতে বাধ্য হয়)
অপরাধীরা সাধারণত গুঁড়ো বা তরল আকারে স্কোপোলামিন শিকারের মুখের দিকে ছুঁড়ে দেয় বা পানীয়তে মিশিয়ে দেয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে ভুক্তভোগী উচ্চমাত্রায় বশীভূত হয়ে পড়ে, বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং প্রতিরোধ করার শক্তি থাকে না। ফলে, তারা সহজেই চুরির শিকার হয় বা প্রতারণার শিকার হতে পারে।
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
স্কোপোলামিনের অপরাধমূলক ব্যবহার ও প্রতিরোধের উপায়
স্কোপোলামিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোয় ব্যবহারের নজির আছে। তখন এর ব্যবহার হতো তরল বা লিকুইড হিসেবে, ইনজেকশনের মাধ্যমে। এটি প্রথম দিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে ‘ট্রুথ সেরাম’ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। অর্থাৎ, এই ইনজেকশন দিলে ব্যক্তি সত্য কথা বলতে শুরু করে কারণ তার মস্তিষ্কের ওপর নিয়ন্ত্রণ কমে যায়। সে তখন অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং অন্যের কথা শুনতে বাধ্য হয়।
স্কোপোলামিন মূলত পাউডার হিসেবে প্রতারণার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ভিজিটিং কার্ড, কাগজ, কাপড় কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে এটি লাগিয়ে কৌশলে টার্গেট করা ব্যক্তিদের নিশ্বাসের কাছাকাছি আনা হয়। স্কোপোলামিন মানুষের নাকের চার থেকে ছয় ইঞ্চি কাছাকাছি আসলেই নিশ্বাসের আওতায় আসে। এটি নিশ্বাসের সঙ্গে ঢুকলেই মাত্র ১০ মিনিট বা তারও আগে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। মেমোরি এবং ব্রেন তখন সচেতনভাবে কাজ করতে পারে না। কারও ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হতে এক ঘণ্টা লাগে, আবার কেউ তিন-চার ঘণ্টার মধ্যেও স্বাভাবিক হতে পারে না।
উপসর্গ এবং তাৎক্ষণিক করণীয়
যদি মনে হয় যে স্কোপোলামিনের সংস্পর্শে এসেছেন, তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
১। উপসর্গ চিহ্নিত করুন: আকস্মিক বিভ্রান্তি, মাথা ঘোরা, স্মৃতিভ্রংশ এবং অতিরিক্ত বাধ্যতা।
২। তাৎক্ষণিক সাহায্য নিন: বিশ্বস্ত কারও সাথে যোগাযোগ করুন বা জরুরি পরিষেবাগুলো বিশেষ করে পুলিশকে জানান।
৩। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং জাগ্রত থাকার চেষ্টা করুন।
৪। একাকী থাকবেন না: স্কোপোলামিন বিচারশক্তি দুর্বল করে, তাই নির্ভরযোগ্য কারো সাহচর্য গুরুত্বপূর্ণ।
৫। চিকিৎসা নিন: হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সক্রিয় চারকোলের মতো ওষুধ গ্রহণ করুন, যা শরীরে ওষুধের শোষণ কমাতে পারে।
৬। ব্যক্তিগত সম্পদ নিরাপদে রাখুন: যদি জনসমাগম স্থলে আক্রান্ত হন, তবে নিরাপত্তা কর্মী বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করুন।
স্কোপোলামিন বা ডেভিলস ব্রেথ এমন একটি বিপজ্জনক পদার্থ যা অপরাধীরা তাদের শিকারের বোধশক্তি নষ্ট করে সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করে। এর প্রভাব এতটাই তীব্র যে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের কার্যকলাপের কথা কিছুই মনে রাখতে পারে না। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণই এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সকলে মিলে সচেতন থাকলে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিলে আমরা নিজেদের এবং আশেপাশের মানুষদের নিরাপদ রাখতে পারব।
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
শয়তানের নিশ্বাস বা ডেভিলস ব্রেথ কতটা ভয়ানক?
মানুষকে বশ করে তার কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ‘শয়তানের নিশ্বাস’ ব্যবহার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, অপরাধীরা নিজেরা মাস্ক পরে থাকে। আর স্কোপোলামিন মাখানো ভিজিটিং কার্ড, কাগজ, মুঠোফোন মানুষের নাকের কাছাকাছি নিয়ে যায়, মুহূর্তে আক্রান্ত ব্যক্তি হিপনোটাইজ বা সম্মোহিত হয়ে যান। এর ফলে সম্মোহিত ব্যক্তির কি কি ক্ষতি হয় এবিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মরত ডা. মাসুদা পারভীন মিনু।
তিনি বলেন, স্কোপোলামিন যা ‘শয়তানের নিশ্বাস’ নামে কুখ্যাত একটি শক্তিশালী মাদক যা মূলত ডাটুরা এবং ব্রুগমানসিয়া গাছ থেকে পাওয়া যায়। এটি এক প্রকার ট্রোপেন অ্যালকালয়েড, যা স্নায়ুতন্ত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসাশাস্ত্রে এটি মোশন সিকনেস, মাংসপেশির খিঁচুনি ও কিছু স্নায়ুবিক ব্যাধির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তবে অপরাধ জগতে এটি এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্কোপোলামিন মস্তিষ্কের অ্যাসিটাইলকোলিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে। এটি মস্তিষ্কের সেই অংশকে প্রভাবিত করে, যা স্মৃতি, বিচার-বুদ্ধি এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ভুক্তভোগী পুরোপুরি সচেতন থাকলেও তিনি নিজের কাজের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না এবং সহজেই অন্যের প্রভাবের অধীনে চলে যান।বিশেষ করে অপরাধীরা এটি ধুলোর মতো ছড়িয়ে দিয়ে, পানীয় বা খাবারের সাথে মিশিয়ে ব্যক্তিকে অজ্ঞান বা বশীভূত করে থাকে। ভুক্তভোগী নিজের জ্ঞান হারান না, তবে তার কার্যক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সে সহজেই ব্যাংকের পিন কোড বলে দিতে পারেন বা নিজের ঘরের দরজা খুলে দিতে পারেন- কিন্তু পরে কিছুই মনে থাকে না।
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
স্কোপোলামিন বা ‘শয়তানের নিশ্বাস’ গ্রহণের পর শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে
স্মৃতিভ্রংশ: ব্যক্তি সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে ঘটনার স্মৃতি হারাতে পারে।
অবচেতন অবস্থা: ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়তে পারে বা সম্পূর্ণ অনুগত হয়ে যায়।
মানসিক বিভ্রান্তি: ব্যক্তি বাস্তবতা ও কল্পনার মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। এটি একজন মানুষের স্মতিশক্তি সাময়িক ভাবে বা সম্পূর্ণ ভাবে অকেজো করে দিতে পারে।
এটি মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিহীনতা এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এর ব্যবহার স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা তৈরি করতে পারে, যা কখনও কখনও প্রাণঘাতীও হতে পারে।
‘শয়তানের নিশ্বাস’ থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে ডা. মাসুদা পারভীন মিনুর পরামর্শ —
জ্ঞান বৃদ্ধি: সাধারণ মানুষকে স্কোপোলামিনের প্রভাব এবং ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সচেতন করা।
আইনগত পদক্ষেপ: মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা।
সমাজে আলোচনা: মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কে সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করা।
স্কোপোলামিন বা শয়তানের নিশ্বাস একটি ভয়াবহ মাদক, যা মানুষের জীবন ধ্বংস করতে পারে। তাই, এর ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ কতটা ভয়াবহ
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ কতটা ভয়াবহ
মানুষকে বশ করে তার কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ‘শয়তানের নিশ্বাস’ ব্যবহার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, অপরাধীরা নিজেরা মাস্ক পরে থাকে। আর স্কোপোলামিন মাখানো ভিজিটিং কার্ড, কাগজ, মুঠোফোন মানুষের নাকের কাছাকাছি নিয়ে যায়, মুহূর্তে আক্রান্ত ব্যক্তি হিপনোটাইজ বা সম্মোহিত হয়ে যান। এর ফলে সম্মোহিত ব্যক্তির কি কি ক্ষতি হয় এবিষয়ে রাইজিংবিডিকে বিস্তারিত জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মরত ডা. মাসুদা পারভীন মিনু।
তিনি বলেন, ‘‘স্কোপোলামিন যা ‘শয়তানের নিশ্বাস’ নামে কুখ্যাত একটি শক্তিশালী মাদক যা মূলত ডাটুরা (Datura) এবং ব্রুগমানসিয়া (Brugmansia) গাছ থেকে পাওয়া যায়। এটি এক প্রকার ট্রোপেন অ্যালকালয়েড, যা স্নায়ুতন্ত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসাশাস্ত্রে এটি মোশন সিকনেস, মাংসপেশির খিঁচুনি ও কিছু স্নায়ুবিক ব্যাধির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তবে অপরাধ জগতে এটি এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্কোপোলামিন মস্তিষ্কের অ্যাসিটাইলকোলিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে। এটি মস্তিষ্কের সেই অংশকে প্রভাবিত করে, যা স্মৃতি, বিচার-বুদ্ধি এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ভুক্তভোগী পুরোপুরি সচেতন থাকলেও তিনি নিজের কাজের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না এবং সহজেই অন্যের প্রভাবের অধীনে চলে যান।বিশেষ করে অপরাধীরা এটি ধুলোর মতো ছড়িয়ে দিয়ে, পানীয় বা খাবারের সাথে মিশিয়ে ব্যক্তিকে অজ্ঞান বা বশীভূত করে থাকে। ভুক্তভোগী নিজের জ্ঞান হারান না, তবে তার কার্যক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সে সহজেই ব্যাংকের পিন কোড বলে দিতে পারেন বা নিজের ঘরের দরজা খুলে দিতে পারেন—কিন্তু পরে কিছুই মনে থাকে না।’’
শয়তানের নিঃশ্বাস কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569.
স্কোপোলামিন বা ‘শয়তানের নিশ্বাস’ গ্রহণের পর শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে
স্মৃতিভ্রংশ: ব্যক্তি সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে ঘটনার স্মৃতি হারাতে পারে।
অবচেতন অবস্থা: ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়তে পারে বা সম্পূর্ণ অনুগত হয়ে যায়।
মানসিক বিভ্রান্তি: ব্যক্তি বাস্তবতা ও কল্পনার মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। এটি একজন মানুষের স্মতিশক্তি সাময়িক ভাবে বা সম্পূর্ণ ভাবে অকেজো করে দিতে পারে।
এটি মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিহীনতা এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এর ব্যবহার স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা তৈরি করতে পারে, যা কখনও কখনও প্রাণঘাতীও হতে পারে।
‘শয়তানের নিশ্বাস’ থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে ডা. মাসুদা পারভীন মিনুর পরামর্শ —
জ্ঞান বৃদ্ধি: সাধারণ মানুষকে স্কোপোলামিনের প্রভাব এবং ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সচেতন করা।
আইনগত পদক্ষেপ: মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা।
সমাজে আলোচনা: মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কে সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করা।
স্কোপোলামিন বা শয়তানের নিশ্বাস একটি ভয়াবহ মাদক, যা মানুষের জীবন ধ্বংস করতে পারে। তাই, এর ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
আজকের আর্টিকেলটি ছিলো শয়তানের নিঃশ্বাস বা ডেভিলস ব্রেথ ও স্কোপোলামিন পাউডার নিয়ে।